Fact Check : নয়ডার টুইন টাওয়ার ধসে পড়ার ভিডিও সিরিয়ার ভূমিকম্পের বলে শেয়ার করা হয়েছে

নিউ দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভুয়া পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। পুরনো ও সম্পর্কহীন ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন দুটি ভবন ধসে পড়ার ভিডিও সিরিয়ার ভূমিকম্পের বলে শেয়ার করা হচ্ছে। যখন বিশ্বাস নিউজ ভাইরাল পোস্টের সত্যতা যাচাই করেছে তখন এটি বিভ্রান্তিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

ভিডিওটি ইউপির নয়ডার বলে জানা গেছে। 28 আগস্ট 2022 সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছিল। সিরিয়ায় ভূমিকম্পের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

কি ভাইরাল করা হচ্ছে?

ফেসবুক পেজ ‘দা আপনা ইন্ডিয়া’ 7 ফেব্রুয়ারি একটি ভিডিও আপলোড করে দাবি করে, ‘Building collapse in Syria after Earthquake.’

অন্য বেশ কয়েকজন ইউজার এই ভিডিও এক এবং অভিন্ন  দাবি সহ শেয়ার করেছেন।

তদন্ত

বিশ্বাস নিউজ সিরিয়ার নামে ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে তদন্ত শুরু করলে দেখা যায় এটি নয়ডার একটি পুরনো ভিডিও। ইনভিড টুল দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। প্রথমে, এই টুলের সাহায্যে ভাইরাল ভিডিওর বেশ কিছু কীফ্রেম বের করা হয়েছে। এরপর এটিকে গুগল লেন্স দিয়ে সার্চ করা হয়। আমরা ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কিত অনেক ভিডিও পেয়েছি। 28শে আগস্ট, 2022-এ গার্ডিয়ান নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি আপলোড করার সময় বলা হয়েছিল যে ইউপিতে দুটি 32 তলা টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওটি গেট্টির ওয়েবসাইটেও পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছিল যে নয়ডায় দুটি হাইরাইজ টাওয়ার ভেঙে ফেলার পরে, চারদিকে ধুলোর মেঘ উড়তে শুরু করে।

তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, দৈনিক জাগরণ নয়ডার ডেপুটি চিফ রিপোর্টার কুন্দন তিওয়ারির সাথে যোগাযোগ করেছে। তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাল ভিডিওটি 2022 সালের আগস্টের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়। ভিডিওটি সেই সময়ের।

তদন্ত শেষে ভুয়া পোস্ট করা ইউজারের জাজ করা হয়। ফেসবুক পেজ ‘দ্য আপনা ইন্ডিয়া’ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পরিচালিত হয়। এটির ফলোয়ারের সংখ্যা 12 হাজারের বেশি।

উপসংহার: বিশ্বাস নিউজ তদন্ত করে দেখেছে যে সিরিয়ায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি নয়ডার। ভূমিকম্পের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।