বিশ্বাস নিউজ নিজে তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে, ভাইরাল এই ভিডিওর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুর ইসকন মন্দিরের অন্নদানের ভিডিও। সেই ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবি সহ প্রচার করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি (বিশ্বাস নিউজ)। বাংলাদেশে দুর্যোগ চলতে থাকার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, সেখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, কিছু লোকের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এই ভিডিও শেয়ার করে ইউজার দাবি করছেন যে, এটি বাংলাদেশের ভিডিও, সেখানে বন্যা-পীড়িত লোকেদের মধ্যে ইসকন-এর পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
বিশ্বাস নিউজ নিজে তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে, ভাইরাল এই ভিডিওর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুর ইসকন মন্দিরের অন্নদানের ভিডিও। সেই ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবি সহ প্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুক ইউজার ভাইরাল পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, “ইসলামপন্থীরা বাংলাদেশে ইসকন মন্দির সহ হিন্দুদের বহু মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। হাজার-হাজার হিন্দুকে হত্যা করেছে, হিন্দু মেয়ে ও মহিলাদের ধর্ষণ করেছে জেহাদিরা। এখন বাংলাদেশ প্রবল বর্ষণের পর বন্যার মতো দুর্যোগের সঙ্গে লড়ছে। ইসকন মন্দির এমন দুর্যোগের দিনে শয়তানগুলোকে, হিংস্র লোকগুলোকে এবং তাদের পরিবারের লোকজনদের নিখরচায় খেতে দিচ্ছে। সারা দুনিয়ায় শুধু হিন্দুরাই এমন একমাত্র জীব যারা নিজেদের শত্রুর সঙ্গেও মানবিক আচরণ করে, তারা কাটা পড়বে, মারা পড়বে, তবুও শত্রু বিপদে পড়লে দয়া ও করুণা দেখাবে, সেবার মনোভাব প্রকাশ করবে। এ নিয়ে কী আর বলব।”
পোস্ট-এর আর্কাইভ ভার্সন এখানে দেখুন।
এক্স ইউজারও ভাইরাল এই পোস্টকে সামান্য বিভ্রান্তিকর দাবি সহ শেয়ার করছেন।
আমরা নিজের তদন্ত শুরু করে সবার প্রথমেই গুগল লেন্স-এর সাহায্যে ভাইরাল ভিডিওর আলাদা-আলাদা কি-ফ্রেম খোঁজা শুরু করেছিলাম। সার্চ করতে-করতে আমরা একটি ইউটিউব চ্যানেলে ভাইরাল ভিডিওর ফ্রেম দেখতে পেয়েছিলাম।
এই ভিডিওটিকে ওই ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল 22 জুলাই 2024-এ। সেখানে ভিডিওর সঙ্গে যে-তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী, এই ভিডিওটি মায়াপুর ইসকন-এর ভিডিও।
এরই ভিত্তিতে আমরা নিজেদের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গেলাম এবং আমরা দেখলাম যে, ভাইরাল ভিডিওটি 20 জুলাই 2024-এ ‘ইসকন মায়াপুর যাত্রা’ নামক ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছিল। সেখানে ভিডিওর সঙ্গে যে-ক্যাপশন দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী, এই ভিডিওটি মায়াপুর ইসকন মন্দিরের প্রসাদ বিতরণের ভিডিও।
ভাইরাল পোস্ট নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা ইসকন মায়াপুরে ই-মেল পাঠিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম এবং তাদের সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটি শেয়ার করেছিলাম। মায়াপুর ইসকন আমাদের মেল-এর জবাব দিয়ে নিশ্চিত করেছে যে, ভিডিওটি মায়াপুর ইসকন-এরই ভিডিও।
যে-ফেসবুক ইউজার এই বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করেছেন, আমরা তাঁর সোশ্যাল স্ক্যানিং করেছিলাম। তখন জানতে পারলাম যে, এই ইউজারের পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবধারার দ্বারা প্রভাবিত পোস্ট শেয়ার করা হয়।
উপসংহার: বিশ্বাস নিউজ নিজে তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুর ইসকন মন্দিরের ভিডিও। সেটিকে বিভ্রান্তিকর দাবি সহ প্রচার করা হচ্ছে।
Knowing the truth is your right. If you have a doubt on any news that could impact you, society or the nation, let us know. You can share your doubts and send you news for fact verification on our mail ID contact@vishvasnews.com or whatsapp us on 9205270923