সত্যতা পরীক্ষা: বাংলাদেশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার মিথ্যে রং মাখিয়ে
বিশ্বাস নিউজ এই পোস্টটি তদন্ত করার পর আমরা জানতে পেরেছে যে এই দাবি ভুয়ো। তদন্তে জানা গেছে, শর্ট সার্কিটের জন্য হিন্দু ও মুসলমান উভয়েরই দোকানে আগুন লেগেছে।
- By: Umam Noor
- Published: আগস্ট 25, 2022 at 04:13 অপরাহ্ন
- Updated: আগস্ট 26, 2022 at 03:02 অপরাহ্ন
নতুন দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বেশ কিছু দোকান আগুনে পুড়ছে। এই পোস্টটিকে সাম্প্রদায়িকতার রং মাখিয়ে শেয়ার করে ইউজার এই দাবি করছেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। বিশ্বাস নিউজ যখন এই পোস্ট ধরে অনুসন্ধান করল তখন আমরা দেখলাম যে এই দাবি ভুয়ো। তদন্তের পর জানা গেছে, শর্ট সার্কিট হওয়ার ফলে হিন্দু ও মুসলমান উভয়েরই দোকানে আগুন লেগেছে।
ভাইরাল পোস্টে কী বলা হয়েছে?
ফেসবুক ইউজার এই ভাইরাল পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, “বোলখলি উপজেলাগুলির পোপাড়িয়া সংঘ। গতকাল রাত 3টের সময় ওরাড নম্বর 3 কধুরখিল হাই স্কুলের পাশে 5টি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। 💔😓 দোকানের মালিক রনি দে, দোলন, পরিমল দেবনাথ। ফ্রিজ সহ স্টোরে তিনটি বেকারির দোকানের সমস্ত জিনিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।🙂💔 এটা কারা করল? এসব জেনে কী লাভ? তার চেয়ে বরং খবরের আনন্দ উপভোগ করুন এবং নাস্তা করুন।”
সত্যতা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে এখানে লেখা খবরে পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।
পোস্ট-টির আর্কাইভ সংস্করণ এখানে দেখুন।
অনুসন্ধান
আমাদের তদন্ত শুরু করার জন্য আমরা সবার প্রথমে কি-ওয়ার্ড দিয়ে খবরটির অনুসন্ধান শুরু করেছিলাম। সার্চ করতে-করতে আমরা ‘chattogramnews’-এর ওয়েবসাইটে ভাইরাল ছবিটি পেলাম এবং সেখানে 2 অগস্ট 2022-এ প্রকাশিত খবর বলছে, “চট্টগ্রামের বোয়ালখালিতে প্রচণ্ড অগ্নিকাণ্ড। মঙ্গলবার (2 অগস্ট) সকাল প্রায় 4টে নাগাদ কধুরখলি প্রশাসনিক হাই স্কুলের পাশে আগুন লেগেছিল। পাঁচটি দোকান ও তিনটি ছাগল জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বোয়ালখালি দমকল পরিষেবার প্রধান জানিয়েছেন শর্ট সার্কিট হওয়ার ফলে মঙ্গলবার (2 অগস্ট) সকাল প্রায় 4টের সময় আগুন লেগেছিল। হায়দার হুসেন।” সম্পূর্ণ খবর এখানে পড়ুন।
‘জাগো নিউজ 24’ নামক ওয়েবসাইটেও এই ঘটনা সংক্রান্ত খবর পাওয়া গেছে এবং এখানেও ভাইরাল হওয়া ছবিটি দেখতে পাওয়া যাবে। খবরে যে-তথ্য দেওয়া হয়েছে তা হল, “এই আগুনে পাঁচটি দোকান এবং তিনটি ছাগল জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রানি রায়ের মুদির দোকানে আগুন লেগেছে, মহম্মদ করিমের কুলিং কর্নার, পরিমল নাথের সবজির দোকান, দোলন শীলের সেলুন ও মহম্মর মহরমের সবজির দোকান পুড়ে গেছে।” সম্পূর্ণ খবর এখানে পড়ুন।
ctgkhobor নামক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটেও আমরা এই ঘটনা সংক্রান্ত খবর পেয়েছি। এখানেও যে-তথ্য দেওয়া হয়েছে তা হল, “মহম্মদ মহরম আলি, মহম্মদ রনি, মহম্মদ করিম, পরিমল ও দোলনের দোকান দুর্ঘটনায় পুড়ে গেছে।”
নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের সাংবাদিক মিথুন সাদিক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম এবং তাঁকে ভাইরাল পোস্টটি পাঠিয়েছিলাম। তিনি আমাদের নিশ্চিত করে বললেন যে, শুধু হিন্দুদের দোকানই পুড়েছে বলে যে-দাবি করা হয়েছে তা ভুয়ো। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মধ্যে মুসলামানরাও আছেন। আজ পর্যন্ত হওয়া তদন্ত থেকে এটাই জানা গেছে যে শর্ট সার্কিট হওয়ার ফলেই আগুন লেগেছিল।
ভুয়ো খবরটি যিনি শেয়ার করেছেন তিনি ফেসবুক ইউজার Shawon Thalukder, তাঁর সোশ্যাল স্ক্যানিং করার পর আমরা জেনেছি যে এই ইউজার বাংলাদেশেই থাকেন এবং তাঁকে 1131 জন লোক ফলো করেন।
निष्कर्ष: বিশ্বাস নিউজ এই পোস্টটি তদন্ত করার পর আমরা জানতে পেরেছে যে এই দাবি ভুয়ো। তদন্তে জানা গেছে, শর্ট সার্কিটের জন্য হিন্দু ও মুসলমান উভয়েরই দোকানে আগুন লেগেছে।
- Claim Review : বাংলাদেশে হিন্দুর দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে
- Claimed By : Shawon Thalukder
- Fact Check : False
Know the truth! If you have any doubts about any information or a rumor, do let us know!
Knowing the truth is your right. If you feel any information is doubtful and it can impact the society or nation, send it to us by any of the sources mentioned below.