Fact Check : মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের পুরনো ভিডিওটিকে ভুয়ো দাবি নিয়ে ভাইরাল করা হচ্ছে
বিশ্বাস নিউজ ভাইরাল পোস্টের দাবিটিকে জাল বলে প্রমাণ করেছে।ভাইরাল ভিডিওটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুটি শেখানোর জন্য রাস্তা বন্ধ করার বিষয়ে নয়, তবে 2021 সালের ফেব্রুয়ারিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বৈদ্যুতিক স্কুটির মাধ্যমে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন। ভিডিওটি সেই সময়ের।
- By: Ashish Maharishi
- Published: জুলাই 9, 2022 at 01:37 অপরাহ্ন
- Updated: জুলাই 10, 2022 at 07:48 অপরাহ্ন
নিউ দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিওতে তাকে স্কুটি চালাতে দেখা যাচ্ছে।সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুটি শেখাতে পুরো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাকে স্কুটি শেখানোর কাজে ব্যস্ত ছিল গোটা প্রশাসন।
বিশ্বাস নিউজ এই ভিডিওটি আগেও একবার চেক করেছিল। তদন্তে জানা গেছে, সারা দেশে পেট্রোল-ডিজেল ও এলপিজি সিলিন্ডারের ক্রমবর্ধমান দামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিওটি সেই সময়ের। এই ভিডিও নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অরিজিনাল ভিডিওটি 25 শে ফেব্রুয়ারি 2021 এর।
কেন ভাইরাল হচ্ছে
ফেসবুক ইউজার মনীশ শর্মা 24 শে জুন একটি 56 সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করে দাবি করেছেন: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুটি শেখানোর জন্য পুরো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পুরো প্রশাসন তাকে স্কুটি শেখাতে ব্যস্ত আছে’।
পোস্টের বিষয়বস্তু যেমন ছিল এখানে তেমনই লেখা আছে। এটাকে সত্য মনে করে অন্য ইউজাররাও তা ভাইরাল করছেন। পোস্টের আর্কাইভ ভার্সান এখানে দেখা যাবে।
তদন্ত
ভাইরাল পোস্টে করা দাবির সত্যতা জানতে বিশ্বাস নিউজ প্রথমে এই ভিডিও থেকে বেশ কয়েকটি কীফ্রেম বের করে। তারপর সেগুলো গুগল রিভার্স ইমেজ টুলে আপলোড করে সার্চ করা শুরু করে। আমরা অনেক ওয়েবসাইটে এই সম্পর্কিত ভিডিও এবং খবর পেয়েছি।25 শে ফেব্রুয়ারি 2021 ইকোনমিক টাইমসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বলা হয়েছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেট্রোল-ডিজেল এবং এলপিজি সিলিন্ডারের ক্রমবর্ধমান দামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। এ সময় তিনি বৈদ্যুতিক স্কুটার চালিয়ে বিরোধিতা করেন। ভিডিওতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যালেন্সও খারাপ হতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, ভাইরাল ভিডিওতে স্কুটির রঙ এবং এই ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ভিডিওতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশেপাশের মানুষের পোশাকের রঙ একই। দুটি ভিডিওর মানুষও একই।
তদন্তের সময় ANI-এর আসল ভিডিও পাওয়া গেছে। এটি 25 শে ফেব্রুয়ারি 2021-এও আপলোড করা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদের সময় প্রায় পরে যাচ্ছিলেন । তিনি ইলেকট্রিক স্কুটির মাধ্যমে বিক্ষোভ দেখাছিলেন। এই সব ভিডিও থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল যে এটা প্রতিবাদের সময়কার পুরনো ভিডিও।
আগের তদন্তের সময়, বিশ্বাস নিউজ কলকাতার দৈনিক জাগরণ-এর সিনিয়র সাংবাদিক জে কে বাজপেয়ীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। তিনি বলেছিলেন যে ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রশাসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুটার চালানো , সেটা ঠিক না, এই ভিডিওটি ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি এই বিক্ষোভ হয়।
তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে, বিশ্বা নিউজ কলকাতার সিনিয়র সাংবাদিক সৌমিত্র সেনগুপ্তের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ২০২১ সালের। ভাইরাল হওয়া দাবির কোনো সত্যতা নেই। এই ভিডিওটি সেই সময়ের, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন।
পূর্ববর্তী তদন্ত এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত ভাবে পড়তে পারেন।
তদন্ত শেষে ভুয়ো দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো ভিডিও ভাইরাল করা ইউজারের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। ফেসবুক ইউজার মনীশ শর্মার স্যোশাল স্ক্যানিং করে জানা যায় যে এই অ্যাকাউন্টটি 2009 সালের জুলাই মাসে তৈরি করা হয়েছিল। 10 হাজারেরও বেশি লোক ইউজারকে ফলো করে।
निष्कर्ष: বিশ্বাস নিউজ ভাইরাল পোস্টের দাবিটিকে জাল বলে প্রমাণ করেছে।ভাইরাল ভিডিওটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুটি শেখানোর জন্য রাস্তা বন্ধ করার বিষয়ে নয়, তবে 2021 সালের ফেব্রুয়ারিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বৈদ্যুতিক স্কুটির মাধ্যমে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন। ভিডিওটি সেই সময়ের।
- Claim Review : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুটি শেখাতে পুরো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাকে স্কুটি শেখানোর কাজে ব্যস্ত ছিল গোটা প্রশাসন।
- Claimed By : ফেসবুক ইউজার মনীষ শর্মা
- Fact Check : False
Know the truth! If you have any doubts about any information or a rumor, do let us know!
Knowing the truth is your right. If you feel any information is doubtful and it can impact the society or nation, send it to us by any of the sources mentioned below.