Fact Check: বাংলাদেশে হিংসার পুরনো চিত্র পশ্চিমবঙ্গের হুগলির বলে ভাইরাল করা হচ্ছে।
বিশ্বাস নিউজের তদন্তে ভাইরাল হওয়া ছবিটি নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।বাংলাদেশে দাঙ্গার সাথে যুক্ত একটি পুরোনো ছবিকে পশ্চিমবাংলার হুগলীতে হওয়া দাঙ্গার বলে ভাইরাল করা হচ্ছে। এই ছবিটি পশ্চিমবঙ্গে চলা বিধানসভা নির্বাচনের সময় পরিবেশকে সাম্প্রদায়িক করার ভুল অভিপ্রায় নিয়ে শেয়ার করা হচ্ছে।
- By: ameesh rai
- Published: এপ্রিল 26, 2021 at 04:17 অপরাহ্ন
- Updated: এপ্রিল 26, 2021 at 06:26 অপরাহ্ন
বিশ্বাস নিউজ (নয়াদিল্লি)। সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ সম্পর্কিত একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। স্যোশাল মিডিয়া ইউজার দাবী করছেন যে এই ছবিটি পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে সাম্প্রতিকতম হিংস্রতার ঘটনা। দাবি করা হচ্ছে যে হুগলিতে সংঘটিত হিংস্রতায় হিন্দুদের নিশানা করা হচ্ছে। বিশ্ব নিউজের তদন্তে এই দাবিটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভের সাথে যুক্ত একটি পুরোনো ছবি পশ্চিমবঙ্গের সাথে জুড়ে ভাইরাল করা হচ্ছে।
বিশ্বাস নিউজ প্রকাশ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গে চলা বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই ছবিটি পরিবেশকে সাম্প্রদায়িক করার ভুল অভিপ্রায় নিয়ে শেয়ার করা হচ্ছে।
কেন ভাইরাল করা হচ্ছে?
বিশ্বাস নিউজও তার ফ্যাক্ট চেকিং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটবোটে (+91 95992 99372) এই ভাইরাল ছবিটি ফ্যাক্ট চেকিং এর জন্য পেয়েছে। এই ছবিটি টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বেশ ভাইরাল। এই ছবিটি 2021 সালের 7 ই এপ্রিল Yoddha নামে টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করে লেখা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা শুরু হয়েছে।
এই টুইটের আর্কাইভ ভার্সানটি এখানে ক্লিক করে দেখা যাবে।
আদিত্য কুমার দ্বিবেদী # প্রশাসক সমিতির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে 4 এপ্রিল করা একটি টুইটেও এই ছবিটি পোস্ট হুগলিতে দাঙ্গা চালানোর দাবি করা হয়েছে। এটির আর্কাইভ ভার্সানটি এখানে ক্লিক করে দেখা যাবে।
তদন্ত
বিশ্বাস নিউজ প্রথমে ভাইরাল ফটোগুলিতে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ টুলের ব্যবহার করেছিল। আমরা ইন্টারনেটে এই ছবিটির সাথে মেলে এমন অনেক ফলাফল পেয়েছি। newsin.asia নামে একটি ওয়েবসাইটে 17ই জুলাই 2016-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে আমরা এই ভাইরাল ছবিটি পেয়েছি। এই রিপোর্টটি বাংলাদেশে হওয়া দাঙ্গার ভিত্তিতে তৈরি। তবে এই রিপোর্টটিতে ছবি সম্পর্কে আলাদা কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। তবুও, 2016 এর রিপোর্টে ফটোগ্রাফের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে এটি একটা পুরানো ছবি, যার সাথে সাম্প্রতিক দাঙ্গার কোন সম্পর্ক নেই। এই প্রতিবেদনটি এখানে ক্লিক করে বিশদভাবে দেখা যাবে।
এই রিপোর্টে প্রাপ্ত ক্লু এর ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় কীওয়ার্ড (Bangladesh ইত্যাদি)দিয়ে এটি আরও অনুসন্ধান করেছি, আমরা worldhindunews.com তে 6 ই মে 2013 সালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে একই চিত্রটি পেয়েছি। এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের ব্লাসফেমির একটি কথিত মামলার সাথে সম্পর্কিত। এই রিপোর্টে ছবিটির সাথে সরবরাহ করা ক্যাপশনের ভিত্তিতে আমরা আরও অনুসন্ধান করেছি, তখন আমরা একই ক্যাপশনে একই ছবিটি পাই 5 ই মে 2013-এর ডেইলি মেল ওয়েবসাইটের একটি রিপোর্টে। প্রায় 7 বছরের আগের এই রিপোর্টে জানা গেছে যে, ব্লাসফেমির বিষয়ে নতুন আইনের দাবিতে বাংলাদেশে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল, এতে কয়েক ডজন লোক মারা গিয়েছিল। এই রিপোর্টটি এখানে ক্লিক করে দেখা যাবে।
বিশ্বাস নিউজের তদন্ত থেকে এটা পরিষ্কার ছিল যে এই ছবিটি বাংলাদেশের দাঙ্গার এবং পশ্চিমবঙ্গের সাথে এর কোনও যোগসূত্র নেই। এখন বিশ্বাস নিউজ তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে জানতে চায় যে পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে অতীতে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল কিনা। বিশ্বাস নিউজ হুগলিতে কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ ধর্মীয় লোকদের ক্ষতিগ্রস্থ করেছে সেটা নিশ্চিত করার কোনও প্রামাণিক মিডিয়া রিপোর্ট পায় নি।
বিশ্বাস নিউজ এ ব্যাপারে হুগলির গ্রামীণ অ্যাডিশানাল এসপি প্রতীক্ষার সাথে যোগাযোগ করেছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে হুগলিতে এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি।
বিশ্বাস নিউজ টুইটার ইউজার Yoddha এর প্রোফাইল স্ক্যান করে যিনি মিথ্যা দাবি করে ভাইরাল ছবিটি শেয়ার করেছেন। এই প্রোফাইলটি 2020 সালের এপ্রিলে তৈরি হয়েছিল এবং ফ্যাক্ট চেক না হওয়া পর্যন্ত 4 জন অনুসরণকারী ছিল।
निष्कर्ष: বিশ্বাস নিউজের তদন্তে ভাইরাল হওয়া ছবিটি নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।বাংলাদেশে দাঙ্গার সাথে যুক্ত একটি পুরোনো ছবিকে পশ্চিমবাংলার হুগলীতে হওয়া দাঙ্গার বলে ভাইরাল করা হচ্ছে। এই ছবিটি পশ্চিমবঙ্গে চলা বিধানসভা নির্বাচনের সময় পরিবেশকে সাম্প্রদায়িক করার ভুল অভিপ্রায় নিয়ে শেয়ার করা হচ্ছে।
Know the truth! If you have any doubts about any information or a rumor, do let us know!
Knowing the truth is your right. If you feel any information is doubtful and it can impact the society or nation, send it to us by any of the sources mentioned below.