মহারাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা নবাব মালিকের একজন স্ক্র্যাপ ডিলার হওয়ার দাবির সাথে ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি এডিট করা এবং জাল। মালিক ও তার পরিবার স্ক্র্যাপ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হলেও ভাইরাল হওয়া ছবি তার নয়। এটি অপপ্রচারের উদ্দ্যেশে এডিটিং এর সহায়তায় প্রস্তুত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হচ্ছে।
নিউ দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)।ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা নবাব মালিকের একটি ছবি, যিনি মহারাষ্ট্রের আরিয়ান খান ড্রাগ মামলায় তার বক্তব্যের জন্য বিখ্যাত হয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যাতে তাকে একটি পুরোনো জিনিসের দোকানের সামনে দেখা যায়। দাবি করা হচ্ছে যে এই ছবিটি নবাব মালিকের, যখন তিনি পুরোনো জিনিসের ব্যবসা করতেন এবং নবাব মালিক শেষ পর্যন্ত কীভাবে একজন পুরোনো জিনিসের ব্যবসা থেকে এত ধনী হয়ে উঠলেন তা তদন্ত করা দরকার। বিশ্বাস নিউজের তদন্তে ভাইরাল হওয়া ছবিটি মিথ্যা এবং এডিট করা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটা সত্য যে নবাব মালিকের একটি পুরোনো জিনিসের ব্যবসা ছিল এবং এখনও তার পরিবার এই ব্যবসার সাথে জড়িত, তবে ভাইরাল হওয়া ছবি তার নয়।
ফেসবুক ইউজার ‘Vijay Singh’ ভাইরাল ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেব যে, ”একজন পুরোনো জিনিসের ব্যবসায়ী নবাব মালিকের কাছে বিপুল ধন সম্পদ কোথা থেকে এবং কিভাবে এল, এই @#$@#$টিও কঠোরভাবে তদন্ত করা উচিত।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বেশ কয়েকজন ইউজার অনুরূপ দাবি করে এই ছবিটি শেয়ার করেছেন।
ভাইরাল ছবিটির গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করার সময়, আমরা thehumansofindia.com ওয়েবসাইটে একটি রিপোর্ট পেয়েছি, যাতে আসল ছবিটি দেখা যায়। নীচে দেখানো কোলাজে এটি স্পষ্টভাবে দেখা যাবে, কীভাবে এই ছবিটি এডিট করে নবাব মালিকের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে নবাব মালিক পুরোনো জিনিসের ব্যবসা করতেন এবং এখন তার প্রচুর সম্পদ রয়েছে যার তদন্ত করা উচিত। প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার সময়, আমরা 3 নভেম্বর 2021-এ বিবিসি হিন্দির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট পেয়েছি, সেটা অনুসারে, মূলত উত্তর প্রদেশের বলরামপুর জেলার বাসিন্দা নবাব মালিকের পরিবার, পুরোনো জিনিসের ব্যবসা ছাড়াও, অনেক ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল।
রিপোর্টে নবাব মালিকের বয়ানও আছে, যাতে উনি এইগুলো স্বীকার করে বলেছিলেন যে, ইনি এবং ওনার পরিবার পুরোনো জিনিসে ব্যবসার সাথে জড়িত। উনি বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পুরোনো জিনিসের ব্যবসায়ী। আমার বাবা মুম্বাইয়ে কাপড় ও স্ক্র্যাপের ব্যবসা করতেন। আমি বিধায়ক হওয়ার আগে পর্যন্ত পুরোনো জিনিসের ব্যবসাও করেছি। আমার পরিবার এখনও করে। আমি এটা নিয়ে আমি গর্বিত।’
নিউজ সার্চ ফ্রি প্রেস জার্নালের ওয়েবসাইটে নিউজ এজেন্সি IANS -এর রিপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায়, যা নবাব মালিকের পরিচয় এবং তার রাজনৈতিক যাত্রার সাথে সম্পর্কিত।
রিপোর্টে তথ্য অনুসারে,“তার (নবাব মালিক) বাবা মোহাম্মদ ইসলাম মালিক দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ডোংরিতে স্ক্র্যাপ (সিন্ডি) এর কাজ শুরু করেছিলেন এবং পরে কুর্লাতে শিফট হয়েছিলেন। কুর্লায় নবাব মালিক তার বাবাকে তার স্ক্র্যাপ ব্যবসায় সাহায্য করেতেন। IANS-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে মালিক বলেছিলেন, “তাহলে… একজন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী হলে ক্ষতি কী? আমরা বর্জ্যকে অর্থে রূপান্তর করে দেশের সেবা করছি, যা পরিবেশের জন্যও ভালো।
আমাদের সহকর্মী দৈনিক জাগরণের মুম্বাই ব্যুরো প্রধান ওম প্রকাশ তিওয়ারি বলেছেন, “এটা সত্য যে নবাব মালিকের পরিবার এবং তিনি নিজেও স্ক্র্যাপের ব্যবসায় করতেন এবং এখন তার পরিবার এই ব্যবসায় করে।”
নবাব মালিক 2019 সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে অনুশক্তিনগর বিধানসভা আসন থেকে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী ছিলেন এবং এই আসন থেকে নির্বাচনে জয়ী হয়েও সফল হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে তার হলফনামায়,তার আয়ের উৎস হিসাবে তিনি ‘কৃষি এবং ব্যবসা’ জানিয়েছেন এবং তিনি ‘M/S মালিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ এবং ‘M/S মালিক স্টিলস’-এর অংশীদার। যে ইউজার ভাইরাল পোস্টটি মিথ্যা দাবি করে শেয়ার করেছেন তার প্রোফাইল মে, 2015 থেকে ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছে।
निष्कर्ष: মহারাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা নবাব মালিকের একজন স্ক্র্যাপ ডিলার হওয়ার দাবির সাথে ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি এডিট করা এবং জাল। মালিক ও তার পরিবার স্ক্র্যাপ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হলেও ভাইরাল হওয়া ছবি তার নয়। এটি অপপ্রচারের উদ্দ্যেশে এডিটিং এর সহায়তায় প্রস্তুত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হচ্ছে।
Knowing the truth is your right. If you have a doubt on any news that could impact you, society or the nation, let us know. You can share your doubts and send you news for fact verification on our mail ID contact@vishvasnews.com or whatsapp us on 9205270923