Fact Check: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-রবার্ট ভাদ্রার বিয়ে কোন মৌলবী দেন নি, ভাইরাল দাবি মিথ্যা
উপসংহার: ভাইরাল পোস্টটি বিশ্বাস নিউজের তদন্তে বিভ্রান্তিকর প্রমাণিত হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রাকে কোন মৌলবী বিয়ে দেন নি, কাশ্মীরি পুরোহিত ইকবাল কিষান রিউ দ্বারা বিয়ে দিয়েছিলেন।
- By: Pallavi Mishra
- Published: সেপ্টে. 27, 2021 at 01:23 অপরাহ্ন
- Updated: ফেব্রু. 20, 2022 at 10:17 অপরাহ্ন
নিউ দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রবার্ট ভাদ্রাকে বিয়ে দিয়েছিলেন একজন মৌলবী। বিশ্বাস নিউজ পোস্টটি বিস্তারিতভাবে যাচাই করে যেখানে দাবিটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রাকে বিয়ে কোন মৌলবী দেন নি, একজন কাশ্মীরি পুরোহিত দিয়েছিলেন।
কেন ভাইরাল হচ্ছে?
টুইটারে এই পোস্টটি শেয়ার করে সত তিওয়ারি নামে একজন ইউজার দাবি করেছেন যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বিয়ে দিয়েছিলেন একজন মৌলবী। তিনি লিখেছেন, “এরা কেবল নামেই গান্ধী। আসলে তারা মোল্লা। নইলে প্রিয়াঙ্কার বিয়েতে মৌলবীর কি দরকার।” এর পাশাপাশি তিনি একটি ছবিও শেয়ার করেছেন। একই সঙ্গে ছবির গায়ে লেখা আছে- “কেউ আমাকে অবজ্ঞা করে বলুক যে একজন মৌলবীকে বিয়েতে ডাকা হয় না নিকাতে ডাকা হয়।” ছবিতে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং অন্য একজনকে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে দেখা যাচ্ছে, যাকে একজন মৌলবী বলা হচ্ছে।
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একই রকম দাবি করে বেশ কিছু পোস্ট পেয়েছি। শর্মা জি, রাহুল কুমার মাহতো, কৈলাশ কৌশিক, এস সনাতনী আইএনসিএ নামের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও একই পোস্ট করা হয়েছে।
একই সময়ে, কিছু পোস্টে, দাড়িওয়ালা লোকটিকে মৌলানা এবং সংসদ সদস্য শফিকুর রেহমান বির্ক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই পোস্টগুলিতে লেখা আছে যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিয়ের সময় মৌলানা এবং সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বির্ককে কি কিছু ইসলামী অনুষ্ঠান করার জন্য ডাকা হয়েছিল?
এই পোস্টটি গত কয়েক বছরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকবার ভাইরাল হয়েছে। পোস্ট এবং এর আর্কাইভ ভার্সন এখানে দেখুন।
বিশ্বাস নিউজও ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটবাট (+91 95992 99372) -এ এই দাবি পেয়েছে।
তদন্ত
এই ভাইরাল পোস্টটির তদন্ত করতে, আমরা একটি গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করেছি, এবং আমরা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রবার্ড ভাদ্রার বিয়ের অনেক ছবি পেয়েছি। তার মধ্যে আমরা এই ছবিটি পেয়েছি। অর্থাৎ এটি ছিল প্রিয়াঙ্কার বিয়ের ছবি। এবার অজানা ব্যক্তির সম্পর্কে জানার পালা। ইন্টারনেটে সার্চ করার সময়, আমরা ডেইলি ও -তে একটি নিবন্ধ পেলাম, যাতে লেখা আছে যে গান্ধী পরিবারের পুরোহিত ইকবাল কিষান রিউ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিয়েতে পূজা করেছিলেন। একই সময়ে, এই খবরে রাহুল গান্ধীর কন্যা দান করার কথাও বলা হয়েছিল। অর্থাৎ হিন্দু রীতি অনুযায়ী এই বিয়ে হয়েছিল।
যখন আমরা ইন্টারনেটে ইকবাল কিষান রিউ সম্পর্কে অনুসন্ধান করলাম, তখন আমি আই-কাশ্মীর থেকে একটি নিবন্ধ পেলাম। বলা হয়েছে যে পণ্ডিত স্বরূপ কিষান রিউ ছিলেন কাশ্মীরের প্রথম ক্রিকেট আম্পায়ার এবং পদ্মশ্রী। ইকবাল কিষাণ রেউ স্বরূপ কিশানের ভাই। তিনি 1932 সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি তাঁর যজমানদের বাড়িতে কাশ্মীরি অনুষ্ঠান করতেন। তিনি রেলওয়েতেও কাজ করতেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বিয়ে করানোর পর 1996 সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। ইকবাল কিষান রেউ এর পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে নেহেরু গান্ধী পরিবারের যজমান।
এই সত্যটি নিশ্চিত করতে আমরা 10 জনপথে কংগ্রেস অফিসে যোগাযোগ করেছি। কংগ্রেস কার্যালয় থেকে বলা হয়েছিল যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিয়েতে মৌলবীর উপস্থিতির দাবি মিথ্যা। বিয়েতে কংগ্রেস অফিসের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিয়ে শুধুমাত্র একজন পণ্ডিত দিয়েছিলেন। হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়েটা হয়েছিল।
অনেক ইউজার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাবি শেয়ার করছেন এবং তাদের মধ্যে একজন হলেন Sat Tiwari 🇮🇳 নামে একজন টুইটার ইউজার। ইউজারের 681 ফলোয়ার রয়েছে।
निष्कर्ष: উপসংহার: ভাইরাল পোস্টটি বিশ্বাস নিউজের তদন্তে বিভ্রান্তিকর প্রমাণিত হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রাকে কোন মৌলবী বিয়ে দেন নি, কাশ্মীরি পুরোহিত ইকবাল কিষান রিউ দ্বারা বিয়ে দিয়েছিলেন।
- Claim Review : এরা কেবল নামেই গান্ধী। আসলে তারা মোল্লা। নইলে প্রিয়াঙ্কার বিয়েতে মৌলবীর কি দরকার।” এর পাশাপাশি তিনি একটি ছবিও শেয়ার করেছেন। একই সঙ্গে ছবির গায়ে লেখা আছে- "কেউ আমাকে অবজ্ঞা করে বলুক যে একজন মৌলবীকে বিয়েতে ডাকা হয় না নিকাতে ডাকা হয়।" ছবিতে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং অন্য একজনকে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে দেখা যাচ্ছে, যাকে একজন মৌলবী বলা হচ্ছে।
- Claimed By : Sat tiwari
- Fact Check : False
Know the truth! If you have any doubts about any information or a rumor, do let us know!
Knowing the truth is your right. If you feel any information is doubtful and it can impact the society or nation, send it to us by any of the sources mentioned below.