বিশ্বাস নিউজ ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে যে দাবি করা হচ্ছে তা তদন্ত করেছে এবং এটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভিডিওটির সাথে ভারতের কোনো সম্পর্ক নেই, ভিডিওটি বাংলাদেশের। ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটি একজন বাংলাদেশী যিনি সিডনিতে থাকেন এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তার ফার্মহাউজে হরিণ শিকার করেছিলেন।
নিউ দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তির হরিণ শিকারের একটি ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, লোকটি প্রথমে হরিণের পালে গুলি করে এবং তারপর ছুরি দিয়ে হত্যা করে। এই ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে ভিডিওটিতে উপস্থিত ব্যক্তি কংগ্রেস বিধায়ক অনিল উপাধ্যায়। বিশ্বাস নিউজ ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে যে দাবি করা হচ্ছে সেটির তদন্ত করে এবং সেটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভিডিওটির সাথে ভারতের কোনো সম্পর্ক নেই, ভিডিওটি বাংলাদেশের। ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটি একজন বাংলাদেশী যিনি সিডনিতে থাকেন এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তার খামারবাড়িতে হরিণ শিকার করেছিলেন।
ভাইরাল ভিডিওটি শেয়ার করে ফেসবুক ইউজার Akshay Kr Upadhyaya লিখেছেন, “সালমান খান এখনও হরিণ শিকার করার দরুন আদালতে ঘুরছেন। কিন্তু এই কংগ্রেস বিধায়ক অনিল উপাধ্যায় পার্কে হরিণ গুলি করে শিকার করা শিখছেন। এটি ভাইরাল করুন এবং আদালতের উচিত তাকে শাস্তি দেওয়া।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বেশ কিছু ইউজার একই রকম দাবি সহ ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। ফেসবুক পোস্টের বিষয়বস্তু যেমন তেমনই লেখা আছে। এর আর্কাইভ ভার্সান এখানে দেখা যাবে।
ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা খুঁজে বের করতে বিশ্বাস নিউজ ইনভিড টুল ব্যবহার করেছে। এই টুলের সাহায্যে, আমরা ভিডিও এর বেশ কিছু গ্র্যান্স বের করেছি এবং গুগল রিভার্স ইমেজের মাধ্যমে এগুলো সার্চ করেছি। এই সময়ে আমরা বাংলাদেশের সংবাদ ওয়েবসাইট ডেইলি স্টারে 12 জুলাই 2015 এ প্রকাশিত ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট পাই। রিপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঈনুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তার ক্ষেতে একটি হরিণকে নির্মমভাবে শিকার করে এবং এর ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং লোকেরা এই ব্যক্তির এই কাজের তীব্র বিরোধিতা করে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কিছু কীওয়ার্ড ব্যবহার করে ফেসবুকে মঈনুদ্দিনের অ্যাকাউন্ট সার্চ করা শুরু করি। এই সময়ে, আমরা 13 জুলাই 2015 এ মঈনুদ্দিন নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোড করা ভাইরাল দাবি সম্পর্কিত একটি পোস্ট পেয়েছি। পোস্টে হরিণ শিকারের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মঈনুদ্দিন। মঈনুদ্দিনের এই পোস্ট অনুসারে, তিনি একজন বাংলাদেশী নাগরিক, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, “বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আমার একটি ফার্ম আছে, যেখানে আমি কিছু হরিণ, গরু এবং অন্যান্য অনেক প্রাণী রেখেছি। আমি লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে এই হরিণ শিকার করেছি। কিন্তু আমি এটা করে মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল। হরিণ হত্যার এই ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত এবং আমি এটি আর করব না।” আমরা ইউজারের অ্যাকাউন্টটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করেছি, কিন্তু আমরা সেখানে ভাইরাল ভিডিওটি খুঁজে পাইনি। এই ভিডিওটি ইউজার ডিলিট করে দিয়েছে।
আমরা সার্চটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় Myneta.info ওয়েবসাইটে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক অনিল উপাধ্যায় সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করেছি। এই ওয়েবসাইটটিতে সারা দেশের বিধায়ক এবং সাংসদের রেকর্ড রয়েছে, তবে আমরা অনিল উপাধ্যায় নামে কোনও বিধায়ক এবং সাংসদ, যিনি বর্তমানে কংগ্রেসের সাথে যুক্ত তার কোনও উল্লেখ খুঁজে পাইনি।
আরও তথ্যের জন্য, আমরা কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিমন্যু ত্যাগীর সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন যে ভাইরাল দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিরোধী দলগুলো আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে।
বিশ্বাস নিউজ, তদন্তের শেষ পর্যায়ে, ভাইরাল পোস্টটি শেয়ার করা প্রোফাইলের পটভূমি পরীক্ষা করেছে। আমরা দেখতে পেয়েছি যে ফেসবুকে ইউজারের নয় শত বন্ধু রয়েছে। Akshay Kr Upadhyaya জুলাই 2010 থেকে ফেসবুকে সক্রিয়।
निष्कर्ष: বিশ্বাস নিউজ ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে যে দাবি করা হচ্ছে তা তদন্ত করেছে এবং এটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভিডিওটির সাথে ভারতের কোনো সম্পর্ক নেই, ভিডিওটি বাংলাদেশের। ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটি একজন বাংলাদেশী যিনি সিডনিতে থাকেন এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তার ফার্মহাউজে হরিণ শিকার করেছিলেন।
Knowing the truth is your right. If you have a doubt on any news that could impact you, society or the nation, let us know. You can share your doubts and send you news for fact verification on our mail ID contact@vishvasnews.com or whatsapp us on 9205270923