Fact Check: যে ব্যক্তি ব্রাহ্মণদের ইউপি থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছিল সে এখন এসপি সরকারে মন্ত্রী নন, 2014 সালের ভিডিও ভাইরাল!
ভাইরাল ভিডিওটি 2014 সালের। এতে দেখা যায় ব্যক্তির নাম রাজীব কুমার যাদব। ভিডিওটি পোস্ট করে তাকে এসপি সরকারের মন্ত্রী বলে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হচ্ছে।
- By: Sharad Prakash Asthana
- Published: জানু. 10, 2022 at 04:17 অপরাহ্ন
- Updated: জানু. 10, 2022 at 04:31 অপরাহ্ন
নিউ দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। এটিতে 1.32 মিনিটের একটি ভিডিও রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, এটি একটি অফিস।এতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তিনি বলছেন যে, সরকারের অগ্রাধিকার হল যাদব প্লাস মুসলিম। উত্তরপ্রদেশ যাদব এবং মুসলিমদ্র রাজ্য। ব্রাক্ষ্মণ মোদির রাজ্য আহমেদাবাদে চলে যান। ব্রাহ্মণরা যদি কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে পারে তবে, আমরা এদের ইউপি ছেড়ে যেতে বাধ্য করব। ভিডিওতে, অন্য ব্যক্তিও ওই ব্যক্তিকে তাকে স্থানান্তর করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানায়।
পোস্টটিতে একটি সংবাদের স্ক্রিনশটও রয়েছে। এর হেডলাইন হল, ‘এসপি বিধায়কের বাজে কথা, ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয় চোর, আমরা আপনাদের ভোট চাই না’। খবরে লেখা হয়েছে, বিতর্কিত বক্তব্য বলেছেন এসপি বিধায়ক আবরার আহমেদ। তিনি ইউপির সুলতানপুর জেলার ইসৌলির বিধায়ক। তিনি বলছেন, তার ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের ভোট চাই না। ভিডিও এবং স্ক্রিনশট পোস্ট দাবি করা হয়েছে যে যিনি এই বিবৃতি এবং হুমকি দিয়েছেন তিনি অখিলেশ যাদবের সরকারে মন্ত্রী ছিলেন।
বিশ্বাস নিউজের তদন্তে এই দাবী ভুল বলে প্রমানিত হয়েছে। আসল কথা হল ভাইরাল ভিডিওটি 2014 সালের। এতে দেখা যাচ্ছে যে ব্যক্তিটির নাম রাজীব কুমার যাদব। তিনি নিজে এসপির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। বিজনোর এসপি এর মুখপাত্রও দলের সাথে রাজীবের সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে স্ক্রিনশটে ইসৌলির বিধায়ক আবরার আহমেদের কথা বলা হচ্ছে।
ভাইরাল পোস্টটিতে কি আছে
ফেসবুক ইউজার Bharat Sharma 5 জানুয়ারি ভিডিও এবং স্ক্রিনশট পোস্ট করে লিখেছেন, “উনি অখিলেশ মিয়ার সরকারের একজন মন্ত্রী যিনি প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন যে _ _#ইউপি থেকে ব্রাহ্মণদের তাড়িয়ে দেবেন যেমন তারা কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হয়েছিল এবং ইউপি যাদব ও মুসলমানদের।
তদন্ত
প্রথমে আমরা ভিডিওটি পরীক্ষা করেছিলাম। এর মধ্যে ফ্রেমটি বের করে, আমরা গুগল রিভার্স ইমেজ টুল দিয়ে সার্চ করেছি। এতে আমরা জি নিউজে 9ই আগস্ট 2016-এ প্রকাশিত সংবাদের লিঙ্ক খুঁজে পেয়েছি। এই ভিডিওতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। খবরে বলা হয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তির নাম রাজীব কুমার যাদব। তিনি নিজেকে এসপি নেতা হিসেবে বর্ণনা করেন। বিজনৌর জেলার কথিত এসপি নেতার এই ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। তিনি সরকারি কর্মচারীকে বলছেন যে ব্রাহ্মণদের ইউপি ছেড়ে মোদির আহমেদাবাদে যেতে হবে। এমনকি তিনি বলেন, ব্রাহ্মণরা ঘুষ খায়।
ভিডিওটি আরও অনুসন্ধান করে, আমরা 9 আগস্ট, 2016-এ jantakiawaz এ প্রকাশিত একটি খবর পেয়েছি। এতে রাজীব কুমার যাদবের ভিজিটিং কার্ডও দেওয়া হয়েছে। ভিজিটিং কার্ড অনুযায়ী, রাজীব কুমার যাদব বিজনৌর এসপির মিলিটারি সেলের ইনচার্জ।
এটি নিশ্চিত করার জন্য, আমরা ভিজিটিং কার্ডে লেখা নম্বরে কথা বলেছিলাম। নম্বরটি রাজীব কুমার যাদবের। রাজীব কুমার যাদব বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি, এসপির সঙ্গে যুক্ত নই। ভিডিওটি সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি 2014 সালের মোরাদাবাদের ভিডিও। এতে বাবু ঘুষ চাইছিলেন। ভিজিটিং কার্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা নিশ্চয়ই কেউ ছাপিয়েছে।এসপির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
একই সময়ে, বিজনৌর জেলার এসপি মুখপাত্র আখলাক পাপ্পু বলেছেন যে রাজীব কুমার যাদব নামে কোনও ব্যক্তি এসপির সাথে যুক্ত নয়। হ্যাঁ, তিনি পার্টিতে মিলিটারি সেল থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এখন স্ক্রিনশট সম্পর্কে কথা বলা যাক। 28 সেপ্টেম্বর 2021-এ জি নিউজে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, ইসৌলির এসপি বিধায়ক আবরার আহমেদ ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়দের নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
আমরা ভিডিও এবং স্ক্রিনশট পোস্ট করে একটি বিভ্রান্তিকর দাবি করা ফেসবুক ইউজার Bharat Sharma এর প্রোফাইল স্ক্যান করেছি। তিনি একটি বিশেষ আদর্শে অনুপ্রাণিত।
निष्कर्ष: ভাইরাল ভিডিওটি 2014 সালের। এতে দেখা যায় ব্যক্তির নাম রাজীব কুমার যাদব। ভিডিওটি পোস্ট করে তাকে এসপি সরকারের মন্ত্রী বলে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হচ্ছে।
- Claim Review : যে ব্যক্তি ব্রাহ্মণদের ইউপি থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি এসপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন
- Claimed By : Bharat Sharma
- Fact Check : False
Know the truth! If you have any doubts about any information or a rumor, do let us know!
Knowing the truth is your right. If you feel any information is doubtful and it can impact the society or nation, send it to us by any of the sources mentioned below.