X
X

Fact Check : কৃষ্ণভক্তদের মারধোর করার এই ভিডিও পশ্চিমবঙ্গের নয়, বরং এটা গোয়ার একটা পুরনো ভিডিও

পশ্চিমবঙ্গের পুলিস ইস্কন-এর ভক্তদের মারধোর করেছে বলে যে-দাবি করা হয়েছে তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে বিশ্বাস নিউজের তদন্তে। 2008 সালে রাশিয়ার দল ও গোয়া পুলিসের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের পুরনো ভিডিওটিকে পশ্চিমবঙ্গের নামে ভাইরাল করা হচ্ছে।

  • By: Ashish Maharishi
  • Published: আগস্ট 31, 2022 at 01:00 অপরাহ্ন
  • Updated: আগস্ট 31, 2022 at 02:58 অপরাহ্ন

নতুন দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে যে পুলিস ও গেরুয়া বসনধারী কিছু লোকের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা এই বলে ভিডিওটা ভাইরাল করছেন যে ইস্কন-এর ভক্তরা শ্রীমদ্ভগবদগীতা বিলি করছিলেন বলে তাঁদের মারধোর করল পশ্চিমবঙ্গের পুলিস। বিশ্বাস নিউজ এই ভাইরাল পোস্টটি তদন্ত করে দেখেছে। সেখানে থাকা দাবি মিথ্যে বলে জানা গেছে। আসলে 2008 সালে গোয়া পুলিস ও রাশিয়ার হরে রাম হরে কৃষ্ণ দলের লোকেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই ঘটনার ভিডিওই এবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের নামে ভাইরাল করা হচ্ছে।

কী ভাইরাল হচ্ছে

ফেচবুক ইউজার প্রদীপ বর্মা 22 অগস্ট একটি ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি করেছেন: ‘কী ভাইরাল হচ্ছে ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে আপনাদের স্বাগত। ISKCON ভক্তরা শ্রীমদ্ভগবদগীতা বিলি করছিলেন বলে তাঁদের মারধোর করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিস। এই নিয়ে কোনও দল কি কোনও মন্তব্য দেবে বা যাঁরা ধর্ম নিরপেক্ষতার গুণগান করেন তাঁরা কিছু বলবেন। লজ্জায় ডুবে মরো কেননা কেননা হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে কেই কিছু বলবে না।’

ফ্যাক্ট চেক করার জন্য ওই পোস্টের কন্টেন্ট এখানে হুবহু লেখা হয়েছে। এটাকে অন্যান্য ইউজারও এখনকার বলে মনে করে ভাইরাল করে যাচ্ছেন। এই পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন এখানে দেখা যেতে পারে।

তদন্ত

বিশ্বাস নিউজ সবার প্রথমে ভাইরাল ভিডিওটি মন দিয়ে দেখেছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে গেরুয়া বসনধারী কিছু লোক ও পুলিসের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। সবার প্রথমে ভাইরাল হওয়া দাবিটিকে গুগল-এ সার্চ করা হয়েছিল। আমরা এমন কোনও খবর পাইনি যে এ কথা প্রমাণ করা যায় যে পশ্চিমবঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে।

এরপর ভাইরাল ভিডিও থেকে কয়েকটি কি-ফ্রেম বের করা হয়েছিল। তারপর সেগুলোকে ইয়ান্ডেক্স টুল-এর সাহায্যে অরিজিনাল সোর্স খোঁজা শুরু করা হয়েছিল। আমরা দেখলাম যে রাশিয়ার একটি ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিও আপলোড করা আছে। সেখানে বলা হয়েছে যে কয়েক জন রাশিয়ান কৃষ্ণভক্ত ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওটি 28 অগস্ট 2013 তারিখে আপলোড করা হয়েছিল।

সার্চ করতে-করতেই এই ভিডিওটাই আমরা 18 এপ্রিল 2018 তারিখের একটি টুইটার হ্যান্ডলে পেয়েছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে যে গোয়ার মপুসা মার্কেটের বাইরে গোয়া পুলিস ও রাশিয়ার হরে রাম হরে কৃষ্ণ দলের ভক্তদের সঙ্গে মারপিট হয়েছিল।

https://twitter.com/KakodkarSudil/status/986623061138034689

আনুষঙ্গিক কী-ওয়ার্ডের ভিত্তিতে গুগল সার্চ করা হয়েছিল। হেরাল্ড গোয়া নামক একটি ওয়েবসাইটে আমরা একটা খবরের সন্ধান পেয়েছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে যে গোয়ার মপুসা পুলিস স্টেশন এলাকায় রাশিয়ান ভক্ত ও পুলিসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই খবরটি 26 নভেম্বর 2008 তারিখে আপলোড করা হয়েছিল। এই সম্পর্কিত খবর এখানে দেখুন।

বিশ্বাস নিউজ আরও তদন্ত করে দেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গের সিনিয়র জার্নালিস্ট বিজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তিনি বলেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।

তদন্তের শেষ পর্বে সেই ইউজারের উপর অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল যিনি গোয়ার পুরনো ভিডিও দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বলে দাবি করেছিলেন। ফেসবুক ইউজার প্রদীপ বর্মার 49 হাজারের বেশি ফ্রেন্ড আছে। এই ইউজার মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা। এই অ্যাকাউন্টটিকে প্রায় পাঁচশো জন ফলো করেন।

निष्कर्ष: পশ্চিমবঙ্গের পুলিস ইস্কন-এর ভক্তদের মারধোর করেছে বলে যে-দাবি করা হয়েছে তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে বিশ্বাস নিউজের তদন্তে। 2008 সালে রাশিয়ার দল ও গোয়া পুলিসের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের পুরনো ভিডিওটিকে পশ্চিমবঙ্গের নামে ভাইরাল করা হচ্ছে।

  • Claim Review : ISKCON-এর ভক্তরা শ্রীমদ্ভগবদগীতা বিলি করছিলেন বলে পশ্চিমবঙ্গের পুলিস তাঁদের মারধোর করেছে।
  • Claimed By : ফেসবুক ইউজার প্রদীপ বর্মা
  • Fact Check : False
False
Symbols that define nature of fake news
  • True
  • Misleading
  • False

Know the truth! If you have any doubts about any information or a rumor, do let us know!

Knowing the truth is your right. If you feel any information is doubtful and it can impact the society or nation, send it to us by any of the sources mentioned below.

ট্যাগ

Post your suggestion

No more pages to load

সম্পর্কিত আর্টিকেলস

Next pageNext pageNext page

Post saved! You can read it later